আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ, দীর্ঘ ১২ বছরের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিষ্ঠান চট্টলার স্বনামধন্য কোচিং “প্রতীতি কমার্স একাডেমী”। ২০১২ সালে স্থাপিত এ প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা, সংস্কৃতি, মেধা-মননে এখন ও অনন্য। ঐতিহ্যের লালন, সম্ভবনার বিকাশ আর অপশক্তির অবলুপ্তির প্রত্যয় নিয়ে শুরু হয়েছিল প্রহেলিকাময় পথে প্রতীতি কমার্স একাডেমী’র পদযাত্রা। উষার পথে এসেছে সহস্ৰ চড়াই-উতরাই, সন্দেহের মরীচিকা কখনো আড়াল করতে চেয়েছে অভিষ্ট বাতিঘর, অপপ্রচারের কুটিকা কখনো তামাসাচ্ছন্ন করেছে সম্মুখের পথ, অপসৃয়মান অপশক্তি কখনো মরন-কামড় বসিয়েছে অমিত সম্ভবনার দ্বার গঠনে, এই কৌটিল্যকে পায়ে দলে অমিত চিত্তে এগিয়ে গিয়েছে “প্রতীতি কমার্স একাডেমী” শিক্ষা সেবার স্বার্থক বাস্তাবায়নে। একবিংশ শতকে পৌছে আমরা আজ গর্ব করে বলতে পারি যে, পৃথিবী নামক গ্রহে বসবাসরত সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে পরিচিত “মানুষ” তার বুদ্ধি, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সমগ্র পৃথিবীকে করেছে করায়ত্ত্ব। বিজ্ঞানের আকাশচুম্মী সাফল্যের বদৌলতে প্রযুক্তিগত ও যন্ত্র কৌশলের ব্যবহারের ক্ষেত্রে এতটাই উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে যে, ঘরে বসে পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চলের খবরাখবর নেয়া যায় নিমেষেই। কিন্তু তারপরও আমারা কি বুকে হাত রেখে বলতে পারি? মননশীলতা, মানসিক উৎকর্ষ ও মানবিকতার ক্ষেত্রে আমরা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পেরেছি? বর্তমান পৃথিবীতে মানুষ নামের ভিড়ে প্রকৃত মানুষ খুজে পাওয়াই দুস্কর। আজকালকার বাবা মায়েদের যদি জিজ্ঞাসা করা হয় যে তার ভবিষ্যতে তাদের সন্তানদের কি হিসেবে দেখতে চান? অধিকাংশেরই উত্তর হবে যে তাদের সন্তানদের তারা একজন চিকিৎসক, প্রকৌশলী, নিদেনপক্ষে সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের একজন জাদরেল কর্মকর্তা হিসেবে দেখতে চান। কিন্তু এমন বাবা মায়ের সংখ্যা অত্যন্ত বিরল যারা ভবিষ্যতে তাদের সন্তানদের মূলত একজন ভাল মানুষ হিসেবে দেখার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেন। এই পৃথিবীকে বসবাসযোগ্য করে তুলতে হলে ভাল মানুষের আজ বড় প্রয়োজন। আর একজন ব্যক্তিকে ভালো, সুন্দর ও সুস্থ মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে শৈশব অবস্থাতেই শিশুদের মধ্যে নৈতিকতার বীজটি বপন করতে হবে। তারা যেন তাদের সুকুমারবৃত্তিগুলোকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করতে পারে, সে জন্য শৈশব থেকেই তাদের চার পাশে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। প্রতীতি কমার্স একাডেমী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আলোকবর্তিকা হয়ে শিক্ষার্থী ও জাতির কল্যাণে অবিরাম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রকল্যাণধর্মী বিভিন্ন গঠনমূলক ও ইতিবাচক কার্যক্রমের মাধ্যমে সুন্দর ব্যক্তি, সমাজ ও দেশগঠনে রাখছে। অনন্য অবদান। আমরা শিক্ষাকে ব্যবসা কিংবা চাকুরী নয় বরং একটি ব্রত ও সামাজিক দায়িত্ব মনে করি। এছাড়াও প্রতীতি কমার্স একাডেমী পালন করে আসছে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ সহ নানা সামাজিক কার্যক্রম। “প্রতীতি কমার্স একাডেমী” আজ এতদঞ্চলের মানুষের প্রিয় ঠিকানা হিসেবে তাদের মনের কুঠুরিতে স্থান দখল করে সকলের কাছে আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। আমরা সবাই যেন ভাল মানুষ হই, প্রকৃত মানুষ হিসেবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে গড়ে তুলতে পারি, এটাই হোক একবিংশ শতকে আমাদের অঙ্গীকার। আগামী প্রজন্মের কাছে এই কল্যাণমুখী পদযাত্রার সু-শিক্ষার মশাল তুলে দিতে সকল শুভাকাঙ্খী, শিক্ষানুরাগী, শিক্ষকসমাজ, অভিভাবকদের আন্তরিক সহযোগিতা ও পরামর্শ একান্ত কাম্য।